Sunday 2 March 2008

দুই’শ বছরের অভ্যাস কি সহজে ভুলা যায়?


ফিল্ম আবি বাকি হ্যায়,

মুনা চাল না মেরি গারপে,

হাম তুমপে মারতে হ্যায় জানু,

মুজে দোস্তি কারোগি?


আরো অনেক কথা যা আমি মনে রাখতে পারিনাই বলে লিখি নাই।

প্রথম বাক্যটা সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেট নেওয়ার পর শাহাদাত হোসেন,ক্রিকেটার,বাংলাদেশ জাতীয় দল।আর পরের গুলো একালের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নিজেদের স্মার্ট বলে দাবী করা

ছেলে মেয়েদের মুখ নিসৃ্ত বাক্য।

ব্রিটিশরা আমাদের কে দুই’শ বছর শাসন করেছিল।আজও আমরা সেই slavery এর অদৃশ্য বলয়ে বন্দি?আমরা কি সেই বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না, নাকি চেষ্টা করছিনা, না সেই প্রথায় আমাদের গায়ে সয়ে গেছে না মজা পাচ্ছি? কথা গুলো কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বা আক্রমণ করার জন্য নয়। কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দিবেন।

ভাবছেন শিরোনাম এর সাথে এই হিন্দি বাক্য গুলোর সম্পর্ক কি? আস্তে আস্তে কমলার খোসা খুলতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ইন্ডিয়া সহ আরও অনেক দেশের চ্যানেল আনন্দ দিয়া থাকে। কেউ নিজের ইচ্ছায় এই বিনোদনের জগতে প্রবেশ করে আবার কাউকে অনেকটা জোর করে করানো হয়। ২৪/৭ এই চ্যানেল গুলো আমাদের দেশে রাজত্ব করে যাচ্ছে। আমাদের দেশে যদি এই চ্যানেল গুলো এক দিন বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে মিছিল সমাবেশ শুরু হয়। হায়! বাংলাদেশের বিদ্রোহীরা। কত দেশ প্রেমিক তোমরা। অথচ ইন্ডিয়াতে তোমাদের চ্যানেল গুলো নিষিদ্ধ। সেখানের বাংলা ভাষীরা তার জন্য একদিন একটা পাতার বাঁশিতে ফু দিয়া প্রতিবাদ জানায়নি বা জানাবে ও না। আর আমরা বীরের জাতি। তাই আমরা চুপ থাকি। ইন্ডিয়াতে বাংলা চ্যানেল চলেনা তার জন্য প্রতিবাদ না করে, করি তাদের জন্য।

এটা কি ভয়ে, না নাকি অজানা কোন কারণে, নাকি সেই দু’শ বছরের অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারছিনা?

বি.দ্রঃ আমি আমার দেশের অবমাননা সহ্য করতে পারিনা।খুব কষ্ট পাই।তাই এই কলামটা লেখাটা লেখা।

Thursday 28 February 2008

এখন হলে সালাম,বরকত,রফিকেরা ভাষার জন্য প্রান দিত না

"আমি বাংলায় গান গাই,
আমি বাংলার গান গাই।"
পৃথিবীর সব জাতির ই অস্তিত্ব থাকে। আমাদের বেলায় ও তার অন্যথায় নয়। আমাদের ইতিহাস হল সেই অস্তিত্ব। আর সেই ইতিহাস এর একটা হল ভাষা আন্দোলন। বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিল সালাম,বরকত,রফিক,জব্বার আরো নাম না জানা কত সতেজ প্রাণ। আর সেই বাংলা ভাষা এখন
DJUICE bangla ( josh,pankha,ajaira pechal), HINGLA( hindhi+bangla) থাম না ইয়ার, তোমার প্রবলেম কেয়া হে? সত্যি আফসোস হয়। সালাম বরকতেরা এখন থাকলে প্রাণ দিত না। তাদের রক্তে আনা ভাষা এখন কলুষিত হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে গ্রামীণ ফোণ সাবাইকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে। সংশ্লিষট মণত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। খুব কষ্ট হয় যখন দেখি বাংলার ছেলে মেয়েরা হিন্দি,ইংলিশ,ঊর্দূ বলে। নিজেকে স্মার্ট হিসাবে প্রকাশ করতে চায়। তারা জানেনা যে তারা অসুস্থতায় ভোগতেছে। সব পরিবারের উচিত তাদের ছেলেমেয়েদের এই বেপারে নজর দেয়া। শিক্ষা প্রতিষ্টয়ানের ও সজাগ থাকা। তাহলে আবার ও বাংলায় গান গাইতে পারব.........